রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার নির্বাচনী অফিসে ভাংচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর থেকে দুর্গাপুর সদরসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুর্গাপুর সদর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনের নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
নির্বাচনী অফিসে ভাংচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনায় ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। থানা পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,আগামীকাল রোববার পঞ্চম ধাপে দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে ভাংচুর চালানো হয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনের নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে। দুর্বৃত্তরা ভাংচুর চালিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় নির্বাচনী অফিস।
এদিকে ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ। এ সময় তারা ভাংচুর করা ও আগুনে পুড়ে যাওয়া প্লাস্টিকের চেয়ার, কাপড়ের পর্দা ও পেট্রল বহনকারী প্লাস্টিকের বোতল আলামত হিসেবে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় দুর্গাপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের ওয়ার্ড নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক আমজাদ আলী বাদী হয়ে রাতেই থানায় মামলা করেন।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি হাসমত আলী বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আলামতও সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
ওসি আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেওয়া যাবে না। ১১টি ভোট কেন্দ্রে ৯ জন নির্বাহী ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটারদের নিরাপত্তায় প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
সূত্রঃ যুগান্তর