দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কার্যক্রমকে আবারও বেআইনি অভিহিত করে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিতর্কিত ওই জলসীমায় চীনের ক্ষমতার প্রয়োগ নিয়ে ওয়াশিংটন শুক্রবার বেইজিংকে ফের সতর্ক করে দিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
চীনের নতুন একটি আইন নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বেইজিংয়ের ওই আইনে দক্ষিণ চীনে সাগরের জলসীমায় ‘অবৈধভাবে প্রবেশ’ করলে যে কোনো বিদেশি নৌযানের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ডকে অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চীনের প্রণীত ওই আইন প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, আইনটির পাঠোদ্ধার করে দেখা যাচ্ছে যে, ‘এটা খুবই স্পষ্ট চীন দৃঢ়ভাবে তাদের সামুদ্রিক প্রতিবেশীদের ভয় দেখানোর কাজে ব্যবহার করার জন্যই আইনটি প্রণয়ন করেছে।’
প্রাইস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চীনকে এবং দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের পরিচালিত বাহিনীগুলোকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, দায়িত্বশীল সামুদ্রিক বাহিনী তাদের কর্তৃত্বের অনুশীলনের সময় পেশাদারিত্ব এবং সংযম নিয়ে কাজ করবে।’
তিনি বলেন. ‘আমরা আরও উদ্বিগ্ন চীন এই নতুন আইনটির দ্বারা দক্ষিণ চীন সাগরে বেআইনি সামুদ্রিক দাবির স্বার্থে কাজে লাগাবে।’
গত বছরের জুলাইয়ে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে ওয়াশিংটনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এর দেওয়া বিবৃতিতে বাইডেন প্রশাসন অবিচল আছে বলেও জানান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস।
পম্পেও তার ওই বিবৃতিতে ঘোষণা দিয়েছিলেন, দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমা ও জ্বালানি ছাড়াও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর চীন নিজেদের যে কর্তৃত্ব দাবি করে তাই সম্পূর্ণ বেআইনি। বেইজিংয়ের এমন বেআইনি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র।
বাইডেন প্রশাসনের প্রধান কূটনীতিক তথা বর্তমান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত ও চীনের প্রতিবেশী দেশ জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপকালে চীনের ওই সামুদ্রিক আইন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন।
সূত্রঃ ঢাকা পোস্ট