মারধরের প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে একটি বাসে আগুন দিয়েছে। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট এলাকায় কুয়াকাটা এক্সপ্রেস নামে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন কীর্তনখোলা হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে শ্রমিকরা ছাত্রদের মেসে ঢুকে মারধর করেন। এতে ১১জন শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আলিম সালেহী, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের নুরুল্লাহ সিদ্দিকী, গণিত বিভাগের ফজলুল হক রাজীব, রসায়ন বিভাগের এস এম সোহানুর রহমান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আহসানুজ্জামান, বোটানি ও ক্রপ সাইন্সের আলী হাসান, বাংলা বিভাগের মো. রাজন হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের মাহবুবুর রহমান, মাহাদী হাসান ইমন, মিরাজ হাওলাদার ও সজীব শেখ।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, রূপাতলী বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপনের কথায় সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার না করায় রাতে পরিবহন শ্রমিকরা মেসে ঢুকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে। যদিও কাওছার হোসেন শিপন ছাত্রদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঝামেলা বিআরটিসি বাসের সঙ্গে। আমাদের সঙ্গে কোনো ঝামেলা নেই। তারা বলছেন- আমার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে, এটা মোটেই ঠিক বলছেন না তারা।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) মো. রাসেল বলেন, শিক্ষার্থীদের হামলার ঘটনায় থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যিালয়ের উপাচার্য আন্দোলনরতদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন।
সূত্রঃ যুগান্তর