হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভা নির্বাচনে এবারও নেই কোনো মাইকের আওয়াজ, নেই শব্দদূষণ। প্রচার-প্রচারণা থাকলেও মাইকের শব্দ থেকে মুক্তি পেয়েছেন পৌরবাসী।
প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রার্থীরা নিজেই প্রস্তাব করে মাইক দিয়ে প্রচারণা বন্ধ রেখেছেন। এতে ভোটারদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে।
এর আগে ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনেও প্রার্থীরা কোনোপ্রকার মাইকের প্রচার ছাড়াই নির্বাচন করেছিলেন। বাংলাদেশের আর কোনো পৌরসভায় মাইকবিহীন এমন প্রচারণার কথা শোনা যায়নি।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে চুনারুঘাট পৌরসভার নির্বাচন। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণা। তবে শহরবাসী আছেন শান্তিতে। প্রার্থীরা ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালালেও এবার শহরে নেই কোনো মাইকের প্রচার।
আট বর্গকিলোমিটারের ছোট এ পৌরসভায় তিন মেয়রসহ ৫৫ জন সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাইক ব্যবহার করলে শহরে বসবাস করাই অসম্ভব হয়ে পড়ত। ভোটার ও সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে প্রার্থীরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে তাদের অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি মানুষ শব্দদূষণ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তবে ঘরে ঘরে কর্মীদের প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে।
২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনেও চুনারুঘাট পৌরসভায় মাইকের ব্যবহার ছিল না। ওই সময় প্রার্থীরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে নিজেদের প্রস্তাবে মাইক ব্যবহার বন্ধ রেখেছিলেন।
চুনারুঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সত্যজিৎ রায় জানান, ভোটার ও সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে প্রার্থীরা নিজেরাই প্রচারণায় মাইক না ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে তাদের অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি মানুষ শব্দদূষণ থেকে মুক্তি পেয়েছে।
তিনি বলেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। আমার জানামতে, চুনারুঘাটই প্রথম পৌরসভা, যেখানে প্রার্থীরা নিজেরাই প্রচারে মাইক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন।
সূত্রঃ যুগান্তর