বাড়ির ছাদে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে স্কুল ছাত্রী অংকিতা দে ছোঁয়াকে হত্যার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। কয়েকদফা লাশ ওই বাড়ির বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখার পর বুধবার রাতে কোনো এক সময় বিউটি পার্লারের বাথরুমে লাশটি রাখা হয়।
এঘটনায় ওই বাড়ির দুই নারীসহ ৮জনকে নগরীর দৌলতপুর থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে ময়না তদন্ত শেষে গতকাল শুকবার দুপুরে নগরীর রূপসা মহাশশ্মানে আট বছরের অংকিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশের একাধিক সূত্রমতে জানা যায়, খেলার ছলে অথবা ফুসলিয়ে খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের পাবলা বণিকপাড়ার ‘বীণাপাণি’ ভবনে গত ২২ জানুয়ারি বিকেলে প্রবেশ করেছিল অংকিতা। তারপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে, ওই সন্ধ্যায় ছাদে প্রথমে তাকে ধর্ষণ ও পরে জুতার ফিতা, লাইলন ও জালের দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ একটি প্লাষ্টিকের বস্তাতে ভরে সিড়ি ঘরে লুকিয়ে রাখা হয়। সিড়ি ঘরের ওই স্থান ও ছাদের একাধিক স্থানে রক্তের দাগ, ভেজা কাপড় ও বেশ কিছু আলমত দেখে পুলিশ তা নিশ্চিত করেছে। পুলিশের তদন্তে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দুইজনের সম্পৃক্তার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। এর একজন ওই ভবনের মালিক প্রীতম ও বাড়ির কেয়ারটেকার শ্যামল।
তারা দু’জনকেই আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া বাড়ির ছাদের চাবি যে মহিলার কাছে সার্বক্ষণিক থাকতো সেই অনিতা দত্ত ও তার মেয়ে সৃষ্টি দত্তকে শুক্রবার দুপুরে আটক করে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ওসি মোঃ হাসান আল মামুন বলেন, ওই বাড়ীর ছাঁদে রক্তের দাগ পেয়েছিল ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিতে ছাদেই হত্যা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২২ জানুয়ারি অংকিতা নিখোঁজ হওয়ার পর দৌলতপুর থানায় প্রথমে জিডি ও পরে অপহরণ মামলা করেন করেন বাবা সুশান্ত দে।
গত ২৮ জানুয়ারি তার লাশ উদ্ধারের পর অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে।