মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করা সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করছেন জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের সিইও জ্যাক ডরসি।
সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় তিনি এমন মন্তব্য করে বলেছেন, এটি একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত। খবর বিবিসি।
ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট মুছে দেয়ার পর থেকে নানা আলোচনা সমালোচনার মুখে ধারাবাহিকভাবে ১৩ টি টুইট করেছেন জ্যাক ডরসি। যেখানে তিনি বলেছেন, ‘কারো অনলাইনে দেয়া বক্তব্যের কারণে বাস্তব বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হলে পদক্ষেপ নেয়া উচিত। যদিও অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার বিষয়টি বিভেদমূলক এবং একটি নজির সৃষ্টি হলো যা আমি মনে করি বিপজ্জনক।’
অপর এক টুইটে ডরসি লিখেছেন, ‘গত সপ্তাহে ক্যাপিটাল হিলে দাঙ্গার জেরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার এই ঘটনাকে কোনভাবেই উদযাপন করছেন না বা এর জন্য গর্ববোধ করছেন না।’
জ্যাক ডরসি জানান, ‘ট্রাম্পকে স্পষ্টভাবে সতর্ক করার পরই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। টুইটারের মতো প্রতিষ্ঠান যদি এমন সিদ্ধান্ত নেয়, যা মানুষ পছন্দ করছেন না।
তাহলে তারা অন্য কোথাও গিয়ে ক্ষমতা যাচাই করতে পারেন।’শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, ‘ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনার পর ট্রাম্পের ওপর সোস্যাল মিডিয়া জুড়ে বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞার কথা শোনা যাচ্ছে।’
এদিকে, টুইটারের পরপরই ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে ফেসবুক ও ইউটিউব। যে তালিকায় সবশেষ নাম লিখিয়েছে স্ন্যাপচ্যাট। নীতিমালায় অসামঞ্জস্য এবং সচ্ছতার অভাবে উন্মুক্ত ইন্টারনেট তৈরির প্রচেষ্টা আটকে যাচ্ছে বলেও জানান জ্যাক ডরসি।