দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবার বাড়ছে শীতের তীব্রতা। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু জনজীবন। বাড়তে শুরু করেছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। উত্তরাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে উত্তরের বেশ কয়েকটি জেলা। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বাড়ছে শীতের দাপট। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন কুড়িগ্রামের পথঘাট। বইছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। রাস্তার পাশের চায়ের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।
৭০ বয়সী আমজাদ হোসেন বলেন, অনেক ঠান্ডা, বাতাস আছে। গরিব মানুষ কাপড় নেই; তাই আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিচ্ছি।
রাজশাহীতে তীব্র শীতে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। রাতে এবং সকালে কুয়াশা বেশি থাকায় যান চলাচল করছে ধীরগতিতে।
সোহলে হোসেন বলেন, শীত বৃদ্ধি পেয়েছে। সে জন্য কাজ-কাম করতে পারছি না। আমাদের আয়ও কমে গেছে।
দিনাজপুরে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। নওগাঁয় কনকনে ঠাণ্ডায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাপন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূলদের মাঝে ৪৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
শীতে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ায় ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
সূত্রঃ সময় নিউজ