২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ২৬৭.৫৯ কোটি টাকা আয় করেছে বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড কোম্পানি লিমিডেট (বিজিএফসিএল)। এই আয় থেকে কোম্পানির পরিচালন ব্যয় বাবদ এক হাজার ৬৩.৬১ কোটি টাকা বাদ দিয়ে মুনাফা হয়েছে ২০৩.৯৮ কোটি টাকা।
রোববার বিকালে বিজিএফসিএলের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিন বিকালে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে বিজিএফসিএলের ৬৫তম বার্ষিক সাধারণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিএফসিএলের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালকবৃন্দ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বিজিএফসিএলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিজিএফসিএল ভ্যাট, লভ্যাংশ ও আয়কর বাবদ ৬৮১.০৫ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে। বর্তমানে বিজিএফসিএলের পরিচালনাধীন ৬টি গ্যাসফিল্ডের মধ্যে ৫টি ফিল্ড উৎপাদনে রয়েছে।
গত অর্থবছরে এসব ফিল্ডের ৪৪টি কূপ থেকে গড়ে দৈনিক ৬৮১ মিলিয়ন ঘনফুট হারে ২,৪৮,৫৯৮.৯৫১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন পাইপলাইনের মাধ্যমে পেট্রোবাংলার গ্যাস বিতরণ কোম্পানিসমূহে সরবরাহ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কোম্পানির নিজস্ব কূপসমূহ থেকে ১,৭২,২৮৩ ব্যারেল কনডেনসেট উৎপাদিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিজিএফসিএলের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৭টি কূপের ওয়ার্কওভার এবং তিতাস ফিল্ডের লোকেশন-এ, সি ও নরসিংদী ফিল্ডে ওয়েলহেড কমপ্রেশার স্থাপন কার্যক্রম চলছে। ওয়ার্কওভার প্রকল্পের অধীনে ৫টি কূপ হবিগঞ্জ-১, বাখরাবাদ-১, তিতাস-৬, ৯ এবং নরসিংদী-১নং এর ওয়ার্কওভার সফলভাবে সম্পন্ন করে কূপসমূহ থেকে গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে।
তিতাস-৭নং কূপের ওয়ার্কওভার কাজ গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছে। এর পর তিতাস-১৩নং কূপের ওয়ার্কওভার কাজ শুরু হবে। তিতাস লোকেশন ‘সি’ এবং নরসিংদী ফিল্ডে গ্যাস কমপ্রেশার স্থাপন কাজ ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
এ ছাড়া তিতাস লোকেশন ‘এ’ তে ওয়েলহেড কমপ্রেশার স্থাপনের জন্য গত বছরের ৫ নভেম্বর ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সূত্রঃ যুগান্তর