ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণ ও আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পরিবার করলেও পাওয়া গেছে ভিন্ন তথ্য। অপহরণ নয় স্বেচ্ছায় প্রেমিক আতিকের সঙ্গে ঢাকার উদ্দেশ্যে যায় সে এমনটাই জানিয়েছে ওই মাদ্রাসাছাত্রী। পথে ঝগড়া করে গাজীপুর নেমে সে তার ভাইয়ের বাসায় চলে যায়।
পুলিশের তদন্তেও এমন তথ্যই ওঠে এসেছে। পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে ওই ছাত্রী একাই গাজীপুর যায় তার প্রেমিক আতিকের সাথে দেখা করতে। তখন আটকে রেখে ধর্ষণ বা রাস্তায় ফেলে যাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিন বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল বলে জানায় সে।
বুধবার (৬ জানুয়ারী) আদালতে ২২ ধারার জবানবন্দিতে এমন তথ্যই দিয়েছে ওই মাদ্রাসাছাত্রী। গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাখের হোসেন সিদ্দিকী জানান, ওই মাদ্রাসাছাত্রীর সাথে আতিকের প্রায় তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
অপহরণ বা আটকে রেখে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটে নি। তবে বিয়ের প্রলোভনে এর আগে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে আদালতে ২২ ধারার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে ওই ছাত্রী। এদিকে উপজেলার বড়হিতর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের আ. রাজ্জাকের ছেলে আতিক মিয়া (২৭) ও তার সসহযোগিদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় অপহরনের মামলা করেছেন নির্যাতিতার ভাই।
মামলার বিবরণে জানা যায়,অভিযুক্ত আতিক বিভিন্ন সময় প্রেম নিবেদন করে ওই মাদরাসাছাত্রীকে উত্যক্ত করত। গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে ঘরের বাইরে গেলে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আতিক ও তার সহযোগীরা ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ গাজীপুর থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।পরে গত বুধবার (৬ জানুয়ারি) আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে ওই ছাত্রী। এদিকে অপহরণ মামলা হলে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ওই ছাত্রীর ফরেনসিক পরীক্ষা সস্পন্ন হয়েছে। তবে এখনো রিপোর্ট পাওয়া যায় নি।
রিপোর্ট পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাখের হোসেন সিদ্দিকী। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদির মিয়া জানান, এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক যায়নি। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সূত্রঃ সময় নিউজ